আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৬৫(১) অনুসারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এইরূপ কোনো স্থানে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। উক্ত ধারা অমান্য করলে ধারা ২৬৫(২) অনুসারে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করার বিধান রয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলার সকল উপজেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র প্রদর্শন সংক্রান্ত বিধানের পরিপালন নিয়মিত যাচাই করা হবে।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Penalty and Punishment for non compliance in Tax Deduction at Source


উৎসে কর্তিত আয়কর জমা প্রদানের সময়সীমাঃ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর বিধি-১৩ অনুযায়ী উৎসে কর্তিত কর জমা প্রদানের সময়সীমা নিম্নরূপঃ

জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত উৎসে কর্তিত বা সংগ্রহীত আয়করঃ  যে মাসে কর্তন বা সংগ্রহ করা হয়েছে সেই মাস শেষ হওয়ার ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে।

জুন মাসের ১ম ২০ দিনের মধ্যে উৎসে কর্তিত বা সংগ্রহীত আয়করঃ উৎসে আয়কর কর্তন বা সংগ্রহের তারিখ থেকে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে।

জুন মাসের অন্য যেকোনো সময় উৎসে কর্তিত বা সংগ্রহীত আয়করঃ কর্তন বা সংগ্রহের দিনের পরের দিনের মধ্যে। 

জুন মাসের শেষ ২ (দুই) কর্মদিবসে উৎসে কর্তিত বা সংগ্রহীত আয়করঃ একই দিনের মধ্যে। 


নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎসে আয়কর কর্তন ও জমা প্রদানে ব্যর্থতার শাস্তিঃ

অর্থ আইন-২০১৬ এর আলোকে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৫৭ অনুসারে যদি কোনো ব্যক্তি যেকোনো উৎসে কর্তনের খাত থেকে উৎসে আয়কর কর্তন/আদায় করতে ব্যর্থ হলে অথবা নির্ধারিত হার বা অংক অপেক্ষা কম উৎসে আয়কর কর্তন/আদায় করলে অথবা কর্তৃনকৃত/আদায়কৃত উৎসে আয়কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে ব্যর্থ হলে উক্ত ব্যক্তি খেলাপী করদাতা (Assessee in Default) হিসেবে গণ্য হবেন। সেপ্রেক্ষিতে আয়কর বিভাগ কর্তৃক নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের বাধ্যবাধকতা রয়েছেঃ

১। খেলাপী করদাতা কর্তৃক যেই পরিমাণ কর কম কর্তন/আদায় করা হয়েছে অথবা যেই পরিমাণ কর কর্তন করার পরেও সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়নি সেই পরিমাণ কর ব্যক্তিগতভাবে প্রদান করার পাশাপাশি উক্ত কর প্রদানের বিধিবদ্ধ সর্বশেষ তারিখ থেকে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদানের দিন পর্যন্ত প্রতি মাসের জন্য উক্ত করের ২% হারে অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হবে।

২। ধারা ১৩৭(১) অনুসারে জরিমানা আরোপ ।

৩। ১৪৩ (২) ধারা অনুসারে ব্যাংক হিসাব ও বেতন জব্দকরণ 

৪। ১৪৩ (২) (সি) ধারা অনুসারে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসহ সকল প্রকার ইউটিলিটি সার্ভিসের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ

৫। ১৪২ ও ১৪২এ ধারায় সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা সহ অন্যান্য বিধান রয়েছে।


১১৭ এ ধারায় উৎসে আয়কর কর্তন যাচাই এবং বিধানসমূহ প্রয়োগে বাধার শাস্তিঃ

১১৭এ ধারায় উৎসে আয়কর কর্তন যাচাই এবং তদসংক্রান্ত বিধানসমূহ প্রয়োগে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আয়কর কর্তৃপক্ষকে উক্ত কাজ সম্পাদনে বাধা প্রদান করা হলে বা সহযোগিতা প্রদান না করা হলে দায়ী ব্যক্তিকে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।